স্টাফ রিপোর্টার :: ভারী বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে গম, সার, চিনি জাতীয় খোলাপণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র কারণে আবহাওয়া অধিদফতর দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে।
বুধবার (১০ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে শস্য জাতীয় খোলাপণ্য খালাস (লাইটারিং) বন্ধ রেখেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বন্দরের জেটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যের ওপর নির্ভর করে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম ধাপে ধাপে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন কর্তৃপক্ষ। একজন লাইটার মালিক বলেন, মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) বহির্নোঙরের কুতুবদিয়া এলাকায় ৭ হাজার টন পণ্য লাইটারিং করেছি। কিন্তু আজ (বুধবার) ৪ নম্বর সংকেত ঘোষণা ও ভারী বৃষ্টির কারণে লাইটারিং বন্ধ রেখেছি। অনেক বিদেশি জাহাজের ক্যাপ্টেন এ রকম বৈরী আবহাওয়ায় লাইটারিং কার্যক্রমে সম্মতি দেন না। তাদের কাছে নিরাপত্তাই সর্বাগ্রে।
তিনি জানান, বহির্নোঙরে কাজটা ঝুঁকিপূর্ণ। একটি বড় জাহাজের পাশে ছোট জাহাজ বেঁধে পণ্য খালাস করতে হয়। এর মধ্যে বৃষ্টি পড়লে গম, চাল, চিনি ইত্যাদি নষ্ট তো হবেই। তাই এ ধরনের পণ্য খালাস বন্ধ থাকে। বৃষ্টি থামলে বৈরী আবহাওয়া কেটে গেলে আবার শুরু হয় খালাসের কাজ। তবে স্টিল, ক্লিংকারসহ যেসব পণ্য বৃষ্টিতে নষ্ট হয় না সেগুলো যতক্ষণ সম্ভব খালাস করা হয়।
নৌবাণিজ্য অধিদফতরের প্রধান কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের বুলেটিনের ওপর নির্ভর করে মাছ ধরার নৌযানসহ সব ধরনের ছোট নৌযানগুলো সাগরে চলাচল না করতে বলা হয়েছে। তবে ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেশিরভাগ নৌযান উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।