টেকনাফ প্রতিনিধি :: টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো.ইব্রাহিম নামে এক ইয়াবা কারবারী নিহত হয়েছে। সে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার সৈয়দ আলীর ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র,গুলি, ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি।
বুধবার রাত দেড়টার দিকে সাবরাং খুরের মুখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবির দাবী- মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে কয়েকজন ইয়াবা কারবারী সাবরাং খুরের মুখ দিয়ে ইয়াবা পাচার করবে। এমন সংবাদে বিজিবির একটি টহল দল ঐ এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় মেরিন ড্রাইভ দিয়ে চলাচলকারী একটি (সিএনজি) গাড়ীকে থামানোর চেষ্টা করলে সিএনজির ভিতরে থাকা মাদক পাচারকারীরা কোন কিছু না বুঝার আগেই বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষন শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। উভয়ের মধ্যে গুলিবিনিময় চলতে থাকে। একপর্যায়ে মাদক কারবারীরা পিছু হটে উখিয়া কুতুপালং এলাকার নুর হোসেন(৩০), লেদা রোহিঙ্গা ২৬ নং ক্যাম্পের আব্দুল কাশেম(৩০), কম্বনিয়া পাড়া এলাকার মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে মোঃ তাহের(২৬) সু-কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। সেখানে তাকে মৃত ঘোষনা করে। টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্ণেল ফয়সাল হাসান খাঁন জানান, মাদক কারবারীদের ছোড়া গুলিতে ইমরান ও আহসান নামে বিজিবির সদস্য আহত হয়েছে এবং ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ২০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি ধারালো কিরিচ, পাচারে ব্যবহৃত একটি (সিএনজি) গাড়ীও জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান- গুলিবিদ্ধ যুবকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সংঘটিত ঘটনার সাথে জড়িত পালিয়ে যাওয়া আরো ৩ মাদক কারবারীর নাম বলে গেছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।