
চন্দনাইশ প্রতিনিধি::
দেশব্যাপী মশক নিধন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান সপ্তাহ পালন উপলক্ষে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক একটি র্যালি চন্দনাইশ প্রধান প্রধান সড়কগুলি প্রদক্ষিন শেষে মেডিকেলে গিয়ে সমাপ্ত হয়। গতকাল বুধবার (৭ আগষ্ট) পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবু রাশেদ মোঃ নুরুদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল জব্বার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, চন্দনাইশ পৌর মেয়র মাহাবুবুল আলম খোকা, আ’লীগ নেতা ও গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি শেখ টিপু চৌধুরী, হাসপাতালের ডাঃ ফারজানা কালাম, ডাঃ রাজীব বিশ্বাস, কৃষ্ণ চক্রবর্তী, ছোটন কুমার পাল, সোহান প্রমুখ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম’র কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি,এনজিও কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা র্যালিতে অংশ নেন । শেষে হাসপাতালে জমে থাকা বৃষ্টির পানি ও ঘাসে ফগার মেশিন এবং হ্যান্ড স্প্রে দিয়ে মশক নিধন ওষুধ ছিটিয়ে সপ্তাহ ব্যাপী কর্মসূচির সুচনা করেন অতিথিবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী বলেন, এডিস মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে অকালে মৃত্যুবরণ করছে, আবার অনেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিৎিসাধীন রয়েছে। বাঁচতে হলে এডিস মশা ও অন্যান্য মশা নিয়মিত নিধন করতেই হবে। ঘর ও আশপাশের যেকোন পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করলে এডিস মশার লার্ভা মরে যায়। ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারনে পাত্রটি ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। এয়ার কন্ডিশনার, ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, ড্রাম, পরিত্যক্ত টায়ার, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারী শেল ও পরিষ্কার পানিতে এডিস মশা ডিম পারে। নর্দমায়, নোংরা ও ময়লা পানিতে এডিশ মশা ডিম পাড়ে না। যেকোন উপায়ে এডিস মশা ধ্বংস করতে হবে। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে হলে বাড়ী-ঘরের আশপাশ সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী ব্যবহার করতে হবে এবং জ্বর দেখা দিলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। সাধারণ চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু সেরে যায়, তবে হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে। এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি রোধের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এ ব্যাপারে প্রত্যেককে সচেতন থাকতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি ওষুধ ছিটিয়ে এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর ভূমিকা পালন করার জন্য বক্তারা আহবান জানান।