
স্টাফ রিপোর্টার :: ঈদুল আজহায় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সাধ্যমতো পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন মুসলমানরা। সোমবার (১২ আগস্ট) কোরবানি উপলক্ষে এখন কামারশালায় চলছে শেষ সময়ের ব্যস্ততা। গরু কেনার পাশাপাশি কোরবানি দেয়ার সরঞ্জাম কিনতে দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন সবাই। পশু জবাই থেকে শুরু করে চামড়া ছাড়ানো এবং মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত দা, ছুরি, চাপাতি, বটি ইত্যাদি সরঞ্জাম কেনার হিড়িক পড়েছে রেয়াজউদ্দীন বাজার, বকশির হাট, চকবাজার সহ শহরের কামারের দোকানগুলোতে। অস্থায়ী দোকান বসিয়েও বিক্রি করা হচ্ছে কোরবানির এসব সরঞ্জাম। নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে নির্দিষ্ট দোকানগুলোতে পশু জবাইয়ের বিভিন্ন উপকরণ বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে দা, বিভিন্ন সাইজের চাকু, চাপাতি, ভোজালি, কুড়াল, মাংস কাটার জন্যে গাছের বড়ো টুকরো। বিক্রি হচ্ছে শুকনো খড়, হুগলি-চাটাইও। দোকানিরা জানান, পশুর হাড় কাটতে চাপাতি, ভোজালি ও কুড়াল বেশি ব্যবহার করা হয়। লোহার বাটযুক্ত দা ও কাঠের বাটযুক্ত দা এবং বটি দা বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকা থেকে ২ হাজার ৫শ টাকায়। পশুর চামড়া আলাদা করার ছোট ছুরি ৩০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, মাঝারি ৫০ টাকা থেকে ৯০ টাকা এবং বড় ছুরি ৭০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া লম্বা ছুরি ২শ টাকা থেকে ৬শ টাকা, জবাই করার ছুরি ২৫০ টাকা থেকে ৪শ টাকা, চাপাতি সাড়ে ৩শ টাকা থেকে ৭শ টাকা, কুড়াল ১৬০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে পুরোনো ছুরি-দা ও কুড়ালে শান দিতে কামারের দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। ভ্রাম্যমাণ শানদানিরা ঘুরছেন পাড়ায়-পাড়ায়। জেল রোড এলাকার কামার সঞ্জীবন বলেন, ছুরি শান দেয়া ১৫-২০ টাকা, দা ২০-৪০ টাকা, চাপাতি ও ভোজালি ৪০-৫০ টাকায় শান দেয়া হচ্ছে। রেয়াজউদ্দীন বাজারে দা-ছুরি কিনতে আসা নন্দনকাননের শামীম হাসান বলেন, গরু কিনেছি দেড় লাখ টাকায়। শুকনো খড় খাওয়াচ্ছি। কোরবানির পর মাংস কেটে রাখার জন্য চাটাই কিনেছি। এখন দা-ছুরি কিনতে এসেছি। চামড়া আলাদা করতে বড়-ছোট আকারের ছুরি লাগবে।