
মিজানুর রহমান চৌধুরী
মাফিয়া বিরোধী সংবাদ প্রকাশে সংবাদপত্রগুলোকে অ্যালায়েন্স হতে কেউ উদ্বুদ্ধ করতে পারে নি। বরং মাফিয়া ও অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের দাসত্বের সাংবাদিকতা করে অনেকেই সম্পদের মালিক হয়েছে। মাফিয়া অনুগত দাসদের, রাজনীতি, সামাজিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে সাংবাদিকতায় প্রচার প্রচারণার সুযোগ দিয়েছে। অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের পক্ষে কতিপয় চিহ্নিত সংবাদপত্র অনুগত দাসত্বের ভূমিকা রেখেছে এবং তাদের প্রভাব প্রতিপত্তির মাধ্যমে অন্যান্য সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতাকে জিম্মি করে তাদের পথে পরিচালিত করার কাজে সফলতা লাভ করেছে। ফলে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতায় বিপরীত ধারার প্রতিবাদী ও সাহসী কলম সৈনিকদের বিকশিত করার পথ বন্ধ করে দিয়েছে। মাফিয়া ও অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানের আগে কোন সংবাদপত্র মাফিয়া শব্দ উল্লেখ করে কোন সংবাদ প্রকাশ করে নি। অথচ চট্টগ্রামের জননন্দিত জননেতা চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মাফিয়া বিরোধী আন্দোলন করেছিলেন। তার অনুসারীরা অনেকে মাফিয়া চক্রের সাথে হাত মিলিয়ে শত শত কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। আর এ টাকায় আওয়ামী লীগের নেতা হয়েও চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করে নানারকম কর্মসূচি দিয়েছিলেন। চিহ্নিত কয়েকটি সংবাদপত্রও এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে এবং মাফিয়া বিরোধী আন্দোলনে বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন। আর মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তাদের সার্বিক সহযোগিতা দেন এবং তাদের পক্ষে প্রচার প্রপাগান্ডা চালান। সে সময়ে প্রকাশিত সংবাদগুলোতে এ কথার প্রমাণ মিলবে। চট্টগ্রামকেন্দ্রীক সরকারি জমি দখল, জাল দলিল সৃষ্টিকারী, ব্যাংক লুটেরা, অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী, সিন্ডিকেট লুটেরা নিয়ন্ত্রণহীন শিল্প কারখানার মালিক সরকারের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন করে চলেছে। এসব অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের পক্ষে যখন কতিপয় সংবাদপত্র ও চিহ্নিত সাংবাদিক নামধারীরা দাসত্ব করে তখন সচেতন জনমনে নানারকম প্রশ্ন ও প্রতিবাদের জন্ম নেয়। সাংবাদিকতার আড়ালে যারা অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী মাফিয়াদের চাকর-বাকর ও দাসের ভূমিকায় তারা সমাজে সাংবাদিকদের নেতা, রাজনৈতিক নেতা, সন্ত্রাসী সেজে বসে আছে। তাদের দাপটে সচেতন দেশপ্রেমিক ভাল মানুষগুলো অসহায় অনেকটা নীরবে-নিবৃত্তে জীবন যাপন করে। কিছু যন্ত্রণাদগ্ধ প্রতিবাদী মাঝে মাঝে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ করে নানারকম হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। দেশপ্রেমিক সাংবাদিক রাজনীতিবিদ ও সমাজ কর্মীদের হয়রানি ও নির্যাতনের জন্য একমাত্র দায়ী হচ্ছে মাফিয়া অনুগত এসব দাসত্বের সাংবাদিকতা এবং রিলেটেড বিভিন্ন পেশাজীবী। শুদ্ধি অভিযানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে কঠোর ও কঠিন পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।