ই-পেপার | শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
×

কালুরঘাট সেতু দ্রুত সংস্কারের দাবি

গুরুত্বপূর্ণ সেতু কর্ণফুলীর কালুরঘাটে নতুন সেতু এবং এখন জনগণের ভোগান্তির প্রসংগে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার

দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু চট্টগ্রামে কর্ণফুলীর কালুরঘাটে নতুন সেতু নিয়ে এত টালবাহানার কারণ কি? এখন জনগণের ভোগান্তির জন্য দায়ী কারা? কারা সেই ষড়যন্ত্রকারী? তদন্ত হোক। পুরাতন সেতুর সংস্কার দ্রুত হোক, ফেরীসহ পর্যাপ্ত বিকল্প ব্যবস্হা নেয়া হোক এটা এখন আপামর চট্টগ্রামবাসীর দাবী।

তবে অনতিবিলম্বে নতুন সেতু ছাড়া আসল ভোগান্তি যাবে না আর চট্টগ্রাম- কক্সবাজার লাইনে আধুনিক রেল সংযোগ হবে না ।কালুরঘাট সেতুর বিষয়টি নির্বাচনের সময় দল নির্বিশেষে প্রার্থীদের প্রচারণা ও প্রতিশ্রুতিতে গুরুত্ব পেয়ে আসছে। কিন্তু গত ৩৩ বছরেও এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। ২০০১ সালে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করার পর ২০০৪ ও ২০১২ সালে দুই দফা সেতু বন্ধ রেখে সংস্কার করেছিল রেল কর্তৃপক্ষ। সে সময়ও অন্যান্য যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরি চালু করা হয়েছিল। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম বর্ষপূতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে কর্ণফুলী নদীর উপর আরেকটি সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু নতুন রেল ও সড়ক সেতুর জন্য একাধিক সম্ভাব্যতা যাচাই এবং সেতুটির নকশা তৈরি ও বদল করতে করতে কেটে গেছে ১৩ বছর।

পুরাতন সেতুর সংস্কারের জন্য, ফেরীসহ পর্যাপ্ত বিকল্প ব্যবস্হা আগে থেকেই না নেয়াতে জনগণ অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।কালুরঘাট নতুন সেতু নির্মাণ শুরু না হওয়া এবং এখনকার ভোগান্তির
পেছনে আছে গাফিলতি, অদূরদর্শীতা, বোয়ালখালীর সাথে বিমাতাসুভ আচরণ, ওয়াদার বরখেলাপ, আপোষহীন নেতৃত্বের অভাব ।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে জরুরী নজর দেবেন, এটা জনগণের দাবী ।